প্রত্যেক ক্লাসেই এমন একজন স্টুডেন্ট থাকে যে প্রতিবারই ক্লাসে ফার্স্ট হয় এবং তার প্রতিযোগীরা অনেক বেশি পড়াশোনা করার পরে ওই পরীক্ষায় তার চাইতে বেশি নম্বর পায় না। তো এই টপার স্টুডেন্টি আসলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ঠিক কোন পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে। যেগুলো তাকে অন্য সকল স্ট্যান্ডের চাইতে সর্বদা এগিয়ে রাখে। আপনি একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন এই স্টুডেন্টি সারাদিন শুধু যে পড়াশোনা করে এমনটাও কিন্তু নয়।
সেও অন্যদের মতো খেলাধুলা করে বন্ধুদের সাথে সময় কাটায় টিভি দেখে কিন্তু প্রতিদিন পরার পাশাপাশি এত কিছু করার পরেও রেজাল্টের দিন দেখা যায় সেই ক্লাসের টপার হয়। তাই যদি আপনিও টাপার স্টুডেন্টের ক্লাসে ফার্স্ট হবার সেই সিক্রেট গুলোকে জানার মাধ্যমে নিজের ক্লাসের টপার হতে চান। তবে আজকের এই পোস্টটি খুব মনোযোগ সহকারে। প্রথম থেকে একটানা একেবারে শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন। কারণ আজকের এই পোস্টটি এমন চারটি সিক্রেট টপিক আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। এটি যদি আপনি অনুসরণ করে যদি চলতে পারেন। তাহলে আপনাকে স্কুলের টপার স্টুডেন্ট হাওয়ার চান্স অনেকটাই বেড়ে যাবে। তো চলুন শুরু করা যাক-
১- আপনার ছাত্র জীবন এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য ঠিক রাখুন
আসলে টপার স্টুডেন্টরা তাঁদের স্টুডেন্ট লাইফ এবং পার্সোনাল লাইফ এর মধ্যে ব্যালেন্স ঠিক রাখে। তারা যখন পড়তে বসে তখন তাদের 100% ফোকাস শুধুমাত্র পড়ার দিকে থাকে। এবং পড়া বাদে অন্য কোনও বিষয় তখন তার মাথায় আনেনা। আর পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ার কারণে একবার পড়ার টেবিলে বসলে কখন যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে যায় সেটা তাঁরা নিজেরাও ঠিক মতো বুঝতে পারে না।
আর পড়াশোনা এই পদ্ধতিকে বলা হয় ডিপ স্টাডি যেটা টপারদের ক্লাসে ফার্স্ট হবার জন্য অন্যতম প্রধান সিক্রেট। অপরদিকে যখন তারা খেলাধুলা করে কিংবা বন্ধুদের সাথে সময় কাটায় তখন তাদের মন শুধু মাত্র সেখানেই থাকে। অর্থাৎ তারা সর্বদা প্রেজেন্ট কমেন্টে বাচছে এবং তা যখন যে কাজ করে তখন শুধুমাত্র সেটাতেই তাঁদের সম্পূর্ণ ফোকাস দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আউটপুট ও অন্য সব স্টুডেন্টদের চাইতে তুলনামূলক বেটার ফলাফল আসে।
২- আপনার অধ্যয়নের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া জরুরি
আমরা অনেকেই পড়ার সময় হলে মনে মনে বলি আজ থাক কাল থেকে পরব কিংবা পরশু দিন থেকে পরব। আর এভাবে প্রকাশ্যে নাচ করতে করতে কখন যে এক্সাম চলে আসে তা অনেক সময় আমরা নিজেরাই টের পাই না। অপরদিকে টপার স্টুডেন্টরা পরার বিষয়ে কখনওই আপস করে না। তারা প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট রুটিন ফলো করে মন দিয়ে পড়াশোনা করে।
তাতে যত বাধাই আসুক না কেন। তারা কখনোই পড়ায় অবহেলা করে না। আমরা অনেকেই কোনও একদিন পড়তে ইচ্ছে না করলে সেদিন আর পড়ার টেবিলে বসি না। কিন্তু টপার স্টুডেন্টরা এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাদের পড়তে ভালো লাগুক বা না লাগুক তারা ঠিকই পড়াশোনা চালিয়ে যায়। ফলে তাদের পরীক্ষার রেজাল্ট ও অন্যদের চাইতে ভালো হয়।
৩- পড়ার সময় বিষয়টি আরো ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করুন
বন্ধুরা যে কোনও টপিক পড়ার শুধুমাত্র দুটি উপায় আছে। প্রথমটি হল যে টপিক টিকে না বুঝে হুবহু মুখস্থ করা। আর দ্বিতীয়টি হল বইয়ের প্রতিটি টপিক খুব ভালভাবে বুঝে আয়ত্ত করা। এখন আপনি যদি প্রথম অপশনটির মতো বইয়ের টপিক এবং কনসেপ্ট গুলো কে না বুঝে শুধুমাত্র মুখস্থ করেন। তবে আপনি পরীক্ষায় পাশ করলেও খুব একটা বেশি নম্বর পাবেন না। কারণ প্রশ্নকর্তা পরীক্ষার প্রশ্ন একটু কঠিন করলে কিংবা ঘুরিয়ে দিলে তখন আর মুখস্থ বিদ্যায় কাজ হবে না।
অপরদিকে যদি আপনি দ্বিতীয়ও অপশনটির মতো বইয়ের প্রতিটি টপিক এবং কনসেপ্ট খুব ভালভাবে বুঝে আয়ত্ত করেন। তবে পরীক্ষার হলে প্রশ্ন যতই কঠিন হোক না কেন আপনি খুব সহজে সেগুলোর উত্তর করতে পারবেন। ফলে পরীক্ষায় আপনি স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি নম্বর পাবেন। যা আপনাকে ক্লাসে ফার্স্ট হতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
৪- নিজের জন্য একটি অধ্যয়ন সম্পর্কিত লক্ষ্য তৈরি করুন
প্রত্যেক টপার স্টুডেন্টদের জীবনে একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। আর এটি তাদেরকে পড়ার প্রতি সর্বদা মোটিভেট থাকতে সাহায্য করে। মনে করুন আপনি জীবনে বি সি এস, আই, পি এস কিংবা বড় কোনও অফিসার হয়ে আপনার বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে চান। তাঁদের মুখে হাসি ফোটাতে চান আর এরকম একটা সম্মানজনক চাকরি অর্জনের জন্য যেহেতু ভালো রেজাল্ট করার কোনো বিকল্প নেই। তাই আপনি দেখবেন আপনার মধ্যে তখন এমনিতেই পড়ার প্রতি আগ্রহ চলে আসবে। ফলে পড়াশোনা আপনার জন্য তখন কষ্টে নয় বরং আনন্দের হয়ে উঠবে। অপরদিকে জীবনে নির্দিষ্ট কোনও লক্ষণ না থাকলে আপনার একদমই পড়তে ইচ্ছে করবে না। ফলে ক্লাসের টপার হওয়া সম্ভব হবে না।
উপসংহার
তো বন্ধুরা আজ থেকেই এই চারটি টিপস ফলো করে নিয়মিত স্টাডি করুন। আশা করি ক্লাসের পরবর্তী টপার আপনি হবেন। বন্ধুরা আজকের এই চারটি সিগারেট টপিকের মধ্যে আপনার কাছে কোন টা ভালো লেগেছে তা আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন তো আজকের পোস্টা এই পর্যন্তই। পোস্ট টি ভালো লাগলে লাইক করবেন এবং অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন।